১৫ অগাস্ট খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালন করলেও মিলাদ মাহফিলের ব্যানারে তার কোন উল্লেখ ছিল না।
এতে লেখা ছিল- ‘দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আশু আরোগ্য ও সুস্থতা কামনা, দেশবাসী ও দলের নেতা-কর্মীদের করোনা ও অন্যান্য রোগে মৃত্যুবরণে তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের দুদর্শা থেকে রেহাই পেতে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল’।
দোয়া মাহফলি সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, শোক- দুঃখ-বেদনায় যিনি জনগণকে ছেড়ে যাননি, জনগণের পাশে থেকেছেন। দুই বছর অন্যায়ভাবে সাজা দিয়ে জে্লে রাখা হয়েছে, তবুও তিনি অক্ষয়-অব্যয় গণতন্ত্রের প্রশ্নে মাথা নত করেননি।
তিনি বলেন, আমি তার দীর্ঘায়ু কামনা করছি। আল্লাহতালা তার দীর্ঘজীবন দান করবেন। আমরা যে দুঃসময়, অন্ধকার, এই অন্ধকার থেকে আমরা মুক্তি পাব, দেশনেত্রীকে যখন আমরা আমাদের সাথে পাব।
দোয়া মাহফিলে মোনাজাত পরিচালনা করেন জাতীয়তাবাদী উলামা দলের সদস্য সচিব মাওলানা নজরুল ইসলাম তালুকদার।
দলের স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপুর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেলও বক্তব্য রাখেন।
রিজভী বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া একটা মিথ্যা মামলায় সাজা দেওয়া হলো শুধু প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য। সেখানে তার স্বাক্ষর নাই, কোনো ধরনের তার কোনো সম্পর্ক নাই। গণতন্ত্রের জন্যে বার বার নিজের জীবনকে বিপন্ন করছেন তিনি। তিনি কারাগারের বাইরে কিন্তু সম্পূর্ণভাবে মুক্ত নয়।
‘আজকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, তাকে যেভাবে ক্ষত-বিক্ষত করেছে। আজকে অসুস্থ, সুদূর ইংল্যান্ড থেকে দল তিনি পরিচালনা করছেন এই দুর্দিনের মধ্যে, এই গণতন্ত্রহীনতার মধ্যে।’
দেশের অবস্থা তুলে ধরে রিজভী বলেন, ‘আমরা একটা দুঃসময় অতিক্রম করছি, ঘোর দুর্দিন অতিক্রম করছি। কথা বলতে হয় ভয়। মত প্রকাশের স্বাধীনতা এটা তো একেবারে জাদুঘরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।